Cosmology IRRSTC REPORT 2024
গবেষণা এবং আল কুরআন
চিন্তা-ভাবনা-গবেষণার প্রতি উৎসাহিত করে মহান আল্লাহ তায়া'লা পবিত্র কুরআনে ফরমান: ٢٩- كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ ◯
“আমি আপনার নিকট বরকতময় কিতাব (আল কুরআন) নাযিল করেছি, যাতে করে তার আয়াতসমূহ নিয়ে তারা গবেষণা করে।” (সূরাহ ছা-দ: ২৯)
٨٢- أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ ۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ اللَّـهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا
فَلَا “তারা কি কুরআন সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করে না? উহা যদি আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারো নিকট হতে আসত তবে তারা তাতে অনেক মতপার্থক্য পেত।” (নিসা- ৮২)আল কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণার গুরুত্ব ٢٤- أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَىٰ قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا ◯
أَفَلَতারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? নাকি তাদের অন্তরে তালা মেরে দেয়া হয়েছে?” (সূরা মুহাম্মাদ- ২৪)
‘তারা কি ভূপৃষ্ঠে ভ্রমণ করে না, যাতে তারা জ্ঞান-বুদ্ধিসম্পন্ন হৃদয় ও শ্রুতিসম্পন্ন শ্রবণের অধিকারী হতে পারে! বস্তুত চক্ষু তো অন্ধ নয়, বরং অন্ধ হচ্ছে তাদের হৃদয়।’ (সূরা হজ : ৪৬)
‘তবে কি তারা লক্ষ্য করে না উটের প্রতি, কীভাবে তা সৃষ্টি করা হয়েছে এবং আকাশের প্রতি, কীভাবে তাকে উঁচু করা হয়েছে এবং পাহাড়সমূহের প্রতি, কীভাবে তাকে প্রথিত করা হয়েছে এবং ভূমির প্রতি, কীভাবে তা বিছানো হয়েছে’। (সূরা গাশিয়া ১৭-২০)
‘নিশ্চয়ই মহাকাশ ও পৃথিবী সৃষ্টিতে এবং দিবা-রাত্রির আবর্তনের মধ্যে বোধসম্পন্ন লোকদের জন্য নিদর্শন রয়েছে। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শায়িত অবস্থায় আল্লাহকে স্মরণ করে এবং মহাকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টির বিষয়ে চিন্তা-গবেষণা করে এবং বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! এ সবকিছু তুমি অনর্থক সৃষ্টি করনি। সব পবিত্রতা একমাত্র তোমারই। আমাদের তুমি দোজখের শাস্তি হতে বাঁচাও। (সূরা আল-ইমরান ১৯০-৯১)
"ওয়াতিলকাল আমচালু নাদ্বরিবুহা-লিন্নাসি লায়া'ল্লাহুম ইয়াতাফাক্কারু—ন"। অর্থঃ "মানুষের জন্য আমি এসব দৃষ্টান্ত এ জন্য বর্ণনা করি, যাতে তারা চিন্তা করে"।
ইসলামের সত্যতা নিরূপণে এবং ঈমানের পরিপক্বতা অর্জনে পবিত্র কোরআন নিয়ে অব্যাহত চিন্তাভাবনা-গবেষণার বিকল্প নেই। আলোচ্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা কোরআন নিয়ে চিন্তা-গবেষণা করার জন্য মানবকুলকে আহ্বান জানিয়েছেন।
ঙ) ইবনু আব্বাস (রা:) এর জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দুআ:
اللهم فقه في الدين وعلمه التأويل(( (رواه أحمد و ابن أبي شيبة وابن سعد والحاكم والطبراني في الكبير
“হে আল্লাহ তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান কর এবং তা’বীল তথা কুরআনের তাফসীর শিক্ষা দান কর।” (আহমাদ, ইবনু আবী শায়বাহ,ইবনু সা’দ,হাকেম ও ত্বাবরানী কাবীর গ্রন্থে।)
গবেষণা ও চিন্তাচর্চায় আল কোরআনের অনুপ্রেরণা
সূরা আনফালে বলা হয়েছে: ‘আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না,যারা বলে যে, আমরা শুনেছি,অথচ তারা শোনে না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলার নিকট সমস্ত প্রাণীর তুলনায় তারাই মূক ও বধির,যারা উপলব্ধি করে না।’(সূরা আনফাল : ২১, ২২) :‘বল, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমান? (সূরা : আনআম : ৫০ ) আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে নবী! বলে দাও, আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে, তার প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করো।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত ১০১)
প্রকৃতি নিয়ে, সৃষ্টিতত্ত্ব নিয়ে, মহাজাগতিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভেবে না দেখাকে আল্লাহ তায়ালা তিরস্কার করেছেন। কোরআনের ঘোষণা- 'তারা কি নিজেদের অন্তরে ভেবে দেখে না, আল্লাহ আসমান ও জমিন এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুই যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সৃষ্টি করেছেন। (সূরা রুম, আয়াত ৮)[তাফসিরে মা'আরেফুল কোরআন ও ইবনে কাছির অবলম্বনে]
كِتَابٌ أَنْزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ- “এটি এক কল্যাণময় কিতাব, যা আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি। যাতে তারা এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং জ্ঞানীরা উপদেশ গ্রহণ করে” (ছোয়াদ ৩৮/২৯)। َفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِنْدِ غَيْرِ اللهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلاَفًا كَثِيرًا- “তারা কেন কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? যদি এটা আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারু নিকট থেকে আসত, তাহ’লে তারা এর মধ্যে বহু গরমিল দেখতে পেত” (নিসা ৪/৮২)। যারা কুরআন গবেষণা করেনা, তাদের প্রতি ধমক দিয়ে আল্লাহ বলেন,أَفَلاَ يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَى قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا- ‘তবে কি তারা কুরআনকে গভীরভাবে অনুধাবন করে না? নাকি তাদের হৃদয়গুলি তালাবদ্ধ?’ (মুহাম্মাদ ৪৭/২৪)। কুরআন অনুধাবনের মূলনীতি : কুরআন অনুধাবনের প্রধান মূলনীতি হ’ল, কুরআনের যিনি বাহক, তাঁর বুঝ অনুযায়ী কুরআন অনুধাবন করা। অতঃপর তিনি যাদের কাছে কুরআন ব্যাখ্যা করেছেন, সেই ছাহাবীগণের বুঝ অনুযায়ী অনুধাবন করা। এর বাইরে ব্যাখ্যা দিতে গেলে পথভ্রষ্ট হবার সম্ভাবনা থেকে যাবে। কুরআন অনুধাবনের গুরুত্ব : কুরআন নাযিলের মূল উদ্দেশ্যই হ’ল তাকে বুঝা, অনুধাবন করা ও সে অনুযায়ী কাজ করা। শুধুমাত্র পাঠ করা ও মুখস্ত করা নয়। হাসান বাছরী (২১-১১০ হি./৬৪২-৭২৮ খৃ.) বলেন, আল্লাহর কসম! কুরআন অনুধাবনের অর্থ কেবল এর হরফগুলি হেফয করা এবং এর হুদূদ বা সীমারেখাগুলি বিনষ্ট করা নয়। যাতে একজন বলবে যে, সমস্ত কুরআন শেষ করেছি। অথচ তার চরিত্রে ও কর্মে কুরআন নেই’।[ইবনু কাছীর, তাফসীর সূরা ছোয়াদ ২৯ আয়াত।] তিনি বলতেন, কুরআন নাযিল হয়েছে তা বুঝার জন্য ও সে অনুযায়ী আমল করার জন্য। অতএব তোমরা তার তেলাওয়াতকে আমলে পরিণত কর’।[ ইবনুল ক্বাইয়িম, মাদারিজুস সালিকীন (বৈরূত : তাহকীক সহ দারুল কিতাবিল ‘আরাবী, ৩য় সংস্করণ ১৪১৬ হি./১৯৯৬ খৃ.) ১/৪৫০।] জ্যেষ্ঠ তাবেঈ মুহাম্মাদ বিন কা‘ব আল-কুরাযী বলেন, ফজর পর্যন্ত পুরা রাতে সূরা যিলযাল ও ক্বারে‘আহ পাঠ করা এবং তার বেশী পাঠ না করা আমার নিকটে অধিক প্রিয়, সারা রাত্রি কুরআন তেলাওয়াতের চাইতে’।[ আব্দুল্লাহ বিন মুবারক, আয-যুহ্দ (বৈরূত : দারুল কিতাবিল্ ইলমিয়াহ, তাহকীক : হাবীবুর রহমান আ‘যামী, তাবি) ক্রমিক ২৮৭, পৃ. ৯৭।] এর দ্বারা তিনি কুরআন অনুধাবনের গুরুত্ব বুঝিয়েছেন। ইবনু জারীর ত্বাবারী (২২৪-৩১০ হি./৮৩৯-৯২৩ খৃ.) বলেন, কুরআন অনুধাবন অর্থ আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণসমূহ অনুধাবন করা, তাঁর বিধান সমূহ জানা, তাঁর উপদেশ সমূহ গ্রহণ করা ও সে অনুযায়ী আমল করা’।[ইবনু জারীর, তাফসীর ত্বাবারী সূরা ছোয়াদ ২৯ আয়াত।] সৈয়ূতী (৮৪৯-৯১১ হি./১৪৪৫-১৫০৫ খৃ.) বলেন, কুরআন অনুধাবন করাটাই হ’ল মূল উদ্দেশ্য। কেননা কুরআনই হবে কর্মপদ্ধতি ও আচরণে পথ প্রদর্শক। এর মাধ্যমেই মানুষ দুনিয়া ও আখেরাতে সর্বোচ্চ স্থান লাভ করবে’।[সৈয়ূত্বী, আল-ইতক্বান (মিসর : আল-হাইআতুল মিছরিইয়াহ, ১৩৯৪/১৯৭৪) ১/৩৬৮।] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهَذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِهِ آخَرِينَ- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ এই কিতাবের মাধ্যমে বহু সম্প্রদায়কে উঁচু করেন ও অনেককে নীচু করেন’।[ মুসলিম হা/৮১৭; মিশকাত হা/২১১৫।] কুরআনের অনুধাবনকারী ও আমলকারীদের পরকালীন উচ্চ মর্যাদা সম্পর্কে নাউওয়াস বিন সাম‘আন (রাঃ) বলেন, ‘আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, ক্বিয়ামতের দিন কুরআন ও তার বাহককে আনা হবে। যারা তার উপর আমল করেছিল। যাদের সম্মুখে থাকবে সূরা বাক্বারাহ ও আলে ইমরান। সে দু’টি হবে মেঘমালা সদৃশ। যার মধ্যে থাকবে চমক’।[মুসলিম হা/৮০৫; মিশকাত হা/২১২১।] কুরআন অনুধাবনের প্রয়োজনীয়তা : (১) আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অবগত হওয়া ও সে অনুযায়ী আমল করা। এটিই হ’ল প্রধান বিষয়। ইহূদী আলেমরা তাওরাত পড়ত ও তার বিপরীত আমল করত। এমনকি তারা শাব্দিক পরিবর্তন ঘটাতো। নাছারাগণ একই নীতির অনুসারী ছিল। ফলে উভয় উম্মত মাগযূব (অভিশপ্ত) ও যাল্লীন (পথভ্রষ্ট) হয়ে গেছে। মুসলিম উম্মাহর আলেমরাও যেন সে পথে না যায়। সেজন্য সতর্ক করে আল্লাহ আহলে কিতাবদের অবস্থা বর্ণনা করে বলেন,وَإِذْ أَخَذَ اللهُ مِيثَاقَ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَتُبَيِّنُنَّهُ لِلنَّاسِ وَلاَ تَكْتُمُونَهُ فَنَبَذُوهُ وَرَاءَ ظُهُورِهِمْ وَاشْتَرَوْا بِهِ ثَمَنًا قَلِيلاً فَبِئْسَ مَا يَشْتَرُونَ- ‘আর আল্লাহ যখন আহলে কিতাবদের নিকট থেকে অঙ্গীকার নিলেন যে, তোমরা অবশ্যই (শেষনবী মুহাম্মাদের আগমন ও তার উপর ঈমান আনার বিষয়টি) লোকদের নিকট বর্ণনা করবে এবং তা গোপন করবে না। অতঃপর তারা তা পশ্চাতে নিক্ষেপ করল এবং গোপন করার বিনিময়ে তা স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করল। কতই না নিকৃষ্ট তাদের ক্রয়-বিক্রয়’ (আলে ইমরান ৩/১৮৭)। (২) ঈমান বৃদ্ধি পাওয়া : কুরআন অনুধাবন করে পাঠ করলে পাঠকের ঈমান বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি আয়াত ও সূরা তার মনের মধ্যে গভীরভাবে রেখাপাত করে। কারণ এসময় তার চোখ-কান-হৃদয় সবকিছু কুরআনের মধ্যে ডুবে থাকে। এদিকে ইঙ্গিত করেই আল্লাহ বলেন,وَإِذَا مَا أُنْزِلَتْ سُورَةٌ فَمِنْهُمْ مَنْ يَقُولُ أَيُّكُمْ زَادَتْهُ هَذِهِ إِيمَانًا فَأَمَّا الَّذِينَ آمَنُوا فَزَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَهُمْ يَسْتَبْشِرُونَ- ‘আর যখন কোন সূরা নাযিল হয়, তখন তাদের মধ্যেকার কিছু (মুশরিক) লোক বলে, এই সূরা তোমাদের মধ্যে কার ঈমান বৃদ্ধি করল? বস্ত্ততঃ যারা ঈমান এনেছে, এ সূরা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করেছে এবং তারা আনন্দ লাভ করেছে’ (তওবাহ ৯/১২৪)। তিনি আরও বলেন,إِنَّمَا الْمُؤْمِنُونَ الَّذِينَ إِذَا ذُكِرَ اللهُ وَجِلَتْ قُلُوبُهُمْ وَإِذَا تُلِيَتْ عَلَيْهِمْ آيَاتُهُ زَادَتْهُمْ إِيمَانًا وَعَلَى رَبِّهِمْ يَتَوَكَّلُونَ- ‘নিশ্চয়ই মুমিন তারাই, যখন তাদের নিকট আল্লাহকে স্মরণ করা হয়, তখন তাদের অন্তর সমূহ ভয়ে কেঁপে ওঠে। আর যখন তাদের উপর তাঁর আয়াতসমূহ পাঠ করা হয়, তখন তাদের ঈমান বৃদ্ধি পায় এবং তারা তাদের প্রতিপালকের উপর ভরসা করে’ (আনফাল ৮/২)।
٢٩- كِتَابٌ أَنزَلْنَاهُ إِلَيْكَ مُبَارَكٌ لِّيَدَّبَّرُوا آيَاتِهِ وَلِيَتَذَكَّرَ أُولُو الْأَلْبَابِ ◯
٨٢- أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ ۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ اللَّـهِ لَوَجَدُوا فِيهِ اخْتِلَافًا كَثِيرًا
٢٤- أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ الْقُرْآنَ أَمْ عَلَىٰ قُلُوبٍ أَقْفَالُهَا ◯
ঙ) ইবনু আব্বাস (রা:) এর জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর দুআ:
Cosmology
(Courtesy of Wikipedia, Encyclopedia)
The Hubble extreme Deep Field (XDF) was completed in September 2012 and shows the farthest galaxies ever photographed. Except for the few stars in the foreground (which are bright and easily recognizable because only they have diffraction spikes), every speck of light in the photo is an individual galaxy, some of them as old as 13.2 billion years; the observable universe is estimated to contain more than 2 trillion galaxies.[1]
Cosmology (from the Greek κόσμος, kosmos "world" and -λογία, -logia "study of") is a branch of astronomy concerned with the studies of the origin and evolution of the universe, from the Big Bang to today and on into the future. It is the scientific study of the origin, evolution, and eventual fate of the universe. Physical cosmology is the scientific study of the universe's origin, its large-scale structures and dynamics, and its ultimate fate, as well as the laws of science that govern these areas.[2]
The term cosmology was first used in English in 1656 in Thomas Blount's Glossographia,[3] and in 1731 taken up in Latin by German philosopher Christian Wolff, in Cosmologia Generalis.[4]
Religious or mythological cosmology is a body of beliefs based on mythological, religious, and esoteric literature and traditions of creation myths and eschatology.
Physical cosmology is studied by scientists, such as astronomers and physicists, as well as philosophers, such as metaphysicians, philosophers of physics, and philosophers of space and time. Because of this shared scope with philosophy, theories in physical cosmology may include both scientific and non-scientific propositions, and may depend upon assumptions that cannot be tested. Cosmology differs from astronomy in that the former is concerned with the Universe as a whole while the latter deals with individual celestial objects. Modern physical cosmology is dominated by the Big Bang theory, which attempts to bring together observational astronomy and particle physics;[5][6] more specifically, a standard parameterization of the Big Bang with dark matter and dark energy, known as the Lambda-CDM model.
Theoretical astrophysicist David N. Spergel has described cosmology as a "historical science" because "when we look out in space, we look back in time" due to the finite nature of the speed of light.[7]
Big Bang
bɪɡ ˈbaŋ/
noun
1. 1.
ASTRONOMY
the rapid expansion of matter from a state of extremely high density and temperature which according to current cosmological theories marked the origin of the universe.
Big Bang
Courtesy of Wikipedia, the Encyclopedia)
"Big Bang theory" redirects here. For the American TV sitcom, see The Big Bang Theory. For other uses, see Big Bang (disambiguation) and Big Bang Theory (disambiguation).
Timeline of the metric expansion of space, where space (including hypothetical non-observable portions of the universe) is represented at each time by the circular sections. On the left, the dramatic expansion occurs in the inflationary epoch; and at the center, the expansion accelerates (artist's concept; not to scale).
The Big Bang theory is the prevailing cosmological model for the universe[1] from the earliest known periodsthrough its subsequent large-scale evolution.[2][3][4] The model describes how the universe expanded from a very high-density and high-temperature state,[5][6] and offers a comprehensive explanation for a broad range of phenomena, including the abundance of light elements, the cosmic microwave background (CMB), large scale structure and Hubble's law.[7] If the known laws of physics are extrapolated to the highest density regime, the result is a singularity which is typically associated with the Big Bang. Physicists are undecided whether this means the universe began from a singularity, or that current knowledge is insufficient to describe the universe at that time. Detailed measurements of the expansion rate of the universe place the Big Bang at around 13.8 billion years ago, which is thus considered the age of the universe.[8] After the initial expansion, the universe cooled sufficiently to allow the formation of subatomic particles, and later simple atoms. Giant clouds of these primordial elements later coalesced through gravity in halos of dark matter, eventually forming the stars and galaxies visible today.
Higgs boson
Courtesy of Wikipedia, the Encyclopedia
Physicists explain the properties of forces between elementary particles in terms of the Standard Model – a widely accepted framework for understanding almost everything in physics in the known universe, other than gravity. (A separate theory, general relativity, is used for gravity.) In this model, the fundamental forces in nature arise from properties of our universe called gauge invariance and symmetries. The forces are transmitted by particles known as gauge bosons.[13][14]
In the Standard Model, the Higgs particle is a boson with spin zero, no electric charge and no colour charge. It is also very unstable, decaying into other particles almost immediately. The Higgs field is a scalar field, with two neutral and two electrically charged components that form a complex doublet of the weak isospin SU(2) symmetry.
Higgs field
According to the Standard Model, a field of the necessary kind (the Higgs field) exists throughout space and breaks certain symmetry laws of the electroweak interaction.[e] Via the Higgs mechanism, this field causes the gauge bosons of the weak force to be massive at all temperatures below an extreme high value. When the weak force bosons acquire mass, this affects their range, which becomes very small.[f] Furthermore, it was later realised that the same field would also explain, in a different way, why other fundamental constituents of matter (including electrons and quarks) have mass.
For many decades, scientists had no way to determine whether or not the Higgs field existed, because the technology needed for its detection did not exist at that time. If the Higgs field did exist, then it would be unlike any other known fundamental field, but it also was possible that these key ideas, or even the entire Standard Model, were somehow incorrect.[g] Only discovering that the Higgs boson and therefore the Higgs field existed solved the problem.
Unlike other known fields such as the electromagnetic field, the Higgs field is scalar and has a non-zero constant value in vacuum. The existence of the Higgs field became the last unverified part of the Standard Model of particle physics, and for several decades was considered "the central problem in particle physics".[18][19]
The presence of the field, now confirmed by experimental investigation, explains why some fundamental particles have mass, despite the symmetries controlling their interactions implying that they should be massless. It also resolves several other long-standing puzzles, such as the reason for the extremely short range of the weak force.
Although the Higgs field is non-zero everywhere and its effects are ubiquitous, proving its existence was far from easy. In principle, it can be proved to exist by detecting its excitations, which manifest as Higgs particles (the Higgs boson), but these are extremely difficult to produce and detect. The importance of this fundamental question led to a 40-year search, and the construction of one of the world's most expensive and complex experimental facilities to date, CERN's Large Hadron Collider,[20] in an attempt to create Higgs bosons and other particles for observation and study. On 4 July 2012, the discovery of a new particle with a mass between 125 and 127 GeV/c2 was announced; physicists suspected that it was the Higgs boson.[21][22][23] Since then, the particle has been shown to behave, interact, and decay in many of the ways predicted for Higgs particles by the Standard Model, as well as having even parity and zero spin,[6][7] two fundamental attributes of a Higgs boson. This also means it is the first elementary scalar particle discovered in nature.[24] As of 2018, in-depth research shows the particle continuing to behave in line with predictions for the Standard Model Higgs boson. More studies are needed to verify with higher precision that the discovered particle has all of the properties predicted, or whether, as described by some theories, multiple Higgs bosons exist.[25]
Comments
Post a Comment